গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, খালেদা জিয়ার দুই ভুল–ক্লিন হার্ট অপারেশন করে তিনি ভুল করেছিলেন; আরেকটা ভুল করেছিলেন সালমানের কথা শুনে ওষুধের দাম উঠিয়ে দিয়ে।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ‘কাশ্মীর ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিটাল আইনকে ধ্বংস করতে হবে। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসতে চায়, তাহলে সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে যেতে হবে এবং পরিষ্কারভাবে বলতে হবে যে, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন কবরে পাঠানো হবে। পরিষ্কারভাবে বলতে হবে, র্যাবকে বিলোপ করা হবে।’
এ ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি যে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে, তা তিন দিন আগে জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমিও সার্চ কমিটির মিটিংয়ে গিয়েছিলাম। যে ১০ জনের নাম প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠাবেন, তা আগেই জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। জনগণকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সার্চ কমিটি যতই সার্চ করুক, জনগণের চেয়ে বেশি সার্চ তারা করতে পারবে না। জনগণ হলো আসল সার্চের মালিক। তিন দিন আগে এই ১০ জনের নাম প্রকাশ করা হলে তাদের সম্পর্কে আমরা সব তথ্য দিতে পারব। গোয়েন্দা বাহিনী যে তথ্য দিতে পারে না, জনগণ সে তথ্য দিতে পারবে।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘কিছু হলেই বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে।’
তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটির কাছে আমি আটজনের নাম বলেছিলাম। আমি কাউকে জিজ্ঞেস করে নাম দিইনি। হঠাৎ হানিফ আবিষ্কার করলেন, এটা বিএনপির দেওয়া নাম। এই মিথ্যাচার কেন করলেন? এই ভুল তথ্য কেন দিলেন? এটা আমি জানি না। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কারও সঙ্গে আমার গত তিন মাসেও কথা হয়নি, আলাপ দূরের কথা। হানিফ আরেকটা ভুল কথা বলেছেন। বলেছেন, আমি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। আমি কোনোদিন বিএনপির সদস্য ছিলাম না, উপদেষ্টাও ছিলাম না।’
সূত্র: সময় সংবাদ
